লো
মোঃ জুয়েল মাষ্টার, নিজস্ব প্রতিনিধি।
ভোলা চরফ্যাশনে মামলা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মোঃ নিজাম উদ্দিন (৩৫) নামের মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গাড়ী চালককে অপহরণ ও হত্যা চেষ্টায় অভিযোগ উঠছে। বিস্তসূতে জানা যায় যে,চরফ্যাশন উপজেলার সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দুরের একটি চিতায় নিয়ে মারধরের পর হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে দুলারহাট ঈদগাহ জামে মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক মোঃ ইমতিয়াজ হোসেন (ফয়েজ) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার রাতে চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানা ঈদ গাঁহ মাঠ সংলগ্ন এলাকা থেকে তুলে নিয়ে জিন্নাগর ইউনিয়নের দাস কান্দি গ্রামের একটি চিতাখোলায় মারধর করে,শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
এসময় তার চিৎকার ও চেঁচামেচিতে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসলে হামলাকারীরা তাকে আসঙ্গাহীন অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যান। পরে তিনি ও স্থানীয়রা জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে,সহযোগিতা চান। তবে পুলিশ না গেলেও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে,রাতেই চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত মোঃ নিজাম উদ্দিন জানান, গত ৫ মার্চ দুলারহাট কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ সমজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক মোঃ ইমতিয়াজ হোসেন (ফয়েজ) সমজিদের মুসল্লিদের ফুসিয়ে তুলে রাতের আঁধারে তার বসত ঘর বাড়ি ভেঙে গুড়িয়ে দেন। তখন তিনি কর্মস্থলে থাকায়,তার স্ত্রী ও তার ভাই মোঃ নুরুল আমিন শাহ্ বাদী হয়ে, মোঃ ইমতিয়াজ হোসেন ফয়েজসহ ৫ জনকে আসামী করে,পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। ঐই মামলা দায়ের করার পর ক্ষিপ্ত হয়ে, মোঃ ইমতিয়াজ হোসেন ফয়েজসহ স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীরা। মোঃ ইমতিয়াজ হোসেন (ফয়েজ) মামলা তুলে নেয়ার জন্য তাদের পরিবারের সদস্যদের একাধিক বার হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিলেন।
ঈদের ছুটিতে মঙ্গলবার আহত মোঃ নিজাম উদ্দিন কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরে আসেন। দুলারহাট থানার চর তোফাজ্জল গ্রামে তার বাড়ি সংলগ্ন ঈদগাহ্ মাঠে আসার পথে মোঃ ইমতিয়াজ হোসেন ফয়েজসহ ৪/৫ জনের একটি চক্র তাকে সড়কের ওপরে আটক করেন এবং তার চোখ বেধে বেরদর মারধর করার পর মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যান। প্রায় ৩০ মিনিট পর তিনি দেখতে পান জিন্নাগড় ইউনিয়নের দাসকান্দি এলাকায় একটি হিন্দু সম্প্রদায়ের চিতার ভিতরে তিনি পরে আছেন। এসময় অপহরনকারীরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য তাকে একাধিক বার মারধর করেষ এবং গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করেন। তাদের মারধরে তিনি ডাক চিৎকার দিলে,স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এলে ওই চক্র তাকে ফেলে চলে যান।
তিনি আরো অভিযোগ করেন,তাকে উদ্ধারে তিনি স্থানীয়দের চেষ্টায় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোনে দিলেও পুলিশ তাকে কোন সহায়তা করেননি।
পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে তার স্বজনরা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে,রাতেই গুরুতর আহত অবস্থায় চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ভুক্তভোগীর ভাই স্বাস্থ্য পরিদর্শক মোঃ নুরুল আমিন শাহ্ জানান, তাদের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় তিনি এবং তার ভাইয়ের স্ত্রী পৃথক দুটি মামলা করায় প্রতিপক্ষ মোঃ ইমতিয়াজ হোসেন (ফয়েজ) মামলা তুলে নিতে তাকে প্রায় সময় হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলেন। তাদের পরিবারের মধ্যে আতংক ছড়াতে তার ভাই মোঃ নিজাম উদ্দিনকে অপহরন করে হত্যার চেষ্টা করেন। যাতে ভয়ে আতংকে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা গুলো তুলে নেই। এসময় দ্রুত সময়ের মধ্যে ইমতিয়াজ হোসেন ফয়েজসহ তার বাহিনীকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী জানান তিনি।
দুলারহাট ঈদগাহ্ মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক মোঃ ইমতিয়াজ হোসেন ফয়েজ জানান, তারা অহেতুক আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। তাকে তুলে নিয়ে হত্যার চেষ্টার বিষয় সঠিক নয়।
দুলারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.আরিফ ইফতেখার জানান, এঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।