রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
ভোলা জেলার কল্যান সভা ও অপরাধ সভা অনুষ্ঠিত মনপুরায় বেড়ীবাঁধের কাজে দ্বন্দ্বের জেরে খুনের ঘটনায় এজাহার নামীয় ৩ আসামি গ্রেফতার ভোলায় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গাড়ী চালককে অপহরণ ও হত্যার চেষ্টা… ভোলা বোরহানউদ্দিনে যুবদলের উদ্যোগে ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন…. ভোলা,বোরহানউদ্দিনে জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ… ভোলা বোরহানউদ্দিন উপজেলায় কৃষি জমি রক্ষা ও পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিতে টবগী ইউনিয়নের এএইচটি ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা…… ভোলায় সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় র‍্যাবের হাতে আটক-৩ ভোলা ,বোরহানউদ্দিন উপজেলায় কৃষি জমি রক্ষা ও পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিতে ইটভাটায় অভিযান…. ভোলায় সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবা‌দে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত

ভোলায় যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় স্ত্রীর উপর শারীরিক,মানসিক নির্যাতন ও হত্যার চেষ্টা।

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৪
  • ২২৮ Time View
{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

স্টাফ রিপোর্টার।

ভোলা জেলা, দৌলতখান উপজেলাধীন মধ্যজয়নগর ৬ নং ওয়ার্ডের প্রবাসী মোঃ কামালের মালের মেয়ে মোসাম্মদ সুফিয়া বেগম (২১) কে ভোলা জেলা বোরহানউদ্দিন উপজেলাধীন বড় মানিকা ১ নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ হান্নান সাজীর ছেলে,মোহাম্মদ সেলিম সাজী (২৫) এর সাথে ইসলামি শরীয়া মোতাবেক ১০ লক্ষ টাকা মোহরানা ধার্য করিয়া বিবাহ প্রদান করেন।ভুক্তভোগী মোসাম্মদ সুফিয়া জানান,বিবাহ কালীন সময়ে আমার পরিবারের কাছ থেকে যৌতুক হিসেবে একটি মোটরসাইকেল ও ৫ ভরি স্বর্ণ-অলংকার এবং আসবাবপত্র দাবী করেন এবং আমার সুখের জন্য আমার বাবা-মা তাদের এই আইন বিরোধী অনৈতিক যৌতুকের দাবি মেনে নিয়ে,তাদের দাবি পূরণ করা হয়।পরবর্তীতে কিছুদিন না যেতেই বিবাহের সময়ে যৌতুক হিসেবে দেয়া মোটরসাইকেলটি চুরি হয়ে যায়, তখন আবারও আমার পরিবারের কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেল দাবি করেন।আমি যাতে আমার শ্বশুর বাড়িতে ভালো থাকি এবং আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন যাতে আমাকে ভালো জানে,তার জন্য তাদের এই অযৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে পুনরায় আরেকটি মোটরসাইকেল কিনে দেয়া হয়। আমার শ্বশুর, চাচা শশুর, শাশুড়ি ও আমার স্বামী মোহাম্মদ সেলিম সাজী কয়েক মাস পর জমি কিনা, তাদের বসতঘর নির্মাণ এবং আমার স্বামী মোহাম্মদ সেলিম সাজী ব্যবসা করার জন্য আমার পরিবারের কাছ থেকে ধার হিসেবে ১২ লক্ষ টাকা দাবি করেন এবং তারা প্রতিশ্রুতি দেন যে,কয়েক মাস পর আমার পিতা-মাতার কাছ থেকে ধার হিসেবে নেয়া ১২ লক্ষ টাকা ফেরত দিবেন।আমার পিতা-মাতা আমার ভবিষ্যৎ এবং শ্বশুর বাড়িতে আমার শান্তি ও সুখের কথা চিন্তা করে,আমার স্বামী মোঃসেলিম সাজী,শ্বশুর মোঃহান্নান সাজী, চাচা শশুর মোঃহারুন সাজী, শাশুড়ি মোছাম্মৎ আমেনা এবং স্থানীয় মেম্বার, মোহাম্মদ আল-আমিনের কথায় বিশ্বাস করে, ১২ লক্ষ টাকা ধার হিসেবে প্রধান করেন।পরবর্তীতে আমার স্বামী মোঃসেলিম সাজী আমাকে এবং আমার পরিবারকে না জানিয়ে প্রবাসে চলে যান। প্রবাসে যাওয়ার পর আমার স্বামী মোঃসেলিম সাজী আমার কাছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমাকে বলে,আমার বাবা-মায়ের কাছ থেকে আরো পাঁচ লক্ষ টাকা যৌতুক হিসেবে এনে দেয়ার জন্য আর নয় তো আমাকে সে তালাক দেবে এবং আমাকে নিয়ে সংসার করবে না। আমার স্বামী মোঃ সেলিম সাজীর প্ররোচনায় আমার শ্বশুর মোঃ হান্নান সাজী,চাচা শশুর মোঃ হারুন সাজী, শাশুড়ি মোসাম্মদ বিবি মরিয়ম ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক আমার বাবা-মায়ের কাছ থেকে নেয়ার জন্য আমার ওপর শারীরিক মানসিক নির্যাতন চালান।এক পর্যায়ে আমার শ্বশুর বাড়িতে আমার ওপর চলা অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে,আমার বাবা-মাকে আমার শারীরিক- মানসিক নির্যাতনের কথা জানাই,তখন আমার মা আমার শ্বশুর বাড়িতে জান,তখন তারা আমার মায়ের কাছে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এক পর্যায়ে আমার মা তাদের এই অন্যায় আবদার অস্বীকার করলে,এক পর্যায়ে কথা কাটা-কাটি হয় এবং কথা কাটা-কাটির এক পর্যায়ে আমার চাচা শ্বশুর মোঃ হারুন সাজী ঘরে থাকা দড়ি দিয়ে আমার গলায় পেচাইয়া শ্বাসরোধ করে,আমাকে হত্যার চেষ্টা করেন।এতেই তারা ক্ষ্যান্ত হননি,আমার শাশুড়ি মোছাম্মদ আমেনা বেগম আমার চুলের মুঠি ধরিয়া মাটিতে ফেলিয়া কিল-ঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা রক্তাক্ত জখম করেন। পরবর্তীতে আমার ও আমার মায়ের ডাক চিৎকার শুনে পাড়া-প্রতিবেশীরা আমাকে এবং আমার মাকে আমার শ্বশুর,চাচা শ্বশুর ও শাশুড়ীর হাত থেকে রক্ষা করে এবং আমার শারীরিক অবস্থা খারাপ থেকে খারাপ হওয়াতে চিকিৎসার জন্য ২৫০ শর্যা বিশিষ্ট জেনারেল ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এমন অবস্থায় আমার ২ বছরের একটি ছেলে সন্তান আছে।তাই,আমি আমার সন্তানের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে স্বামীর সংসারে ফিরে যেতে চাই এবং বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস এবং বাংলাদেশর সাধারণ মানুষের আস্থা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও ভোলা ২ আসনের সাবেক ও সফল সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হাফিজ ইব্রাহিম এর কাছে আমার প্রতি হওয়া অন্যায়ের সুস্থ বিচার দাবি করছি।
উপরোক্ত মোসাম্মদ সুফিয়া বেগমের অভিযোগ বিষয়টি সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সংবাদকর্মীরা স্থানীয় পাড়া- প্রতিবেশীদের কাছে খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারেন,অভিযোগের বিষয়টি অনেকটাই সত্য। তবে মোসাম্মৎ সুফিয়া বেগমের অভিযোগের বিষয়টি তার স্বামী মোহাম্মদ সেলিম সাজী প্রবাসে থাকার কারণে তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি,তবে চাচা শশুর মোঃ হারুন সাজীর সাথে মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে তাদের বিরুদ্ধে উপরোক্ত অভিযোগের বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে,তিনি অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 dainikbanglartattho.com
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin