নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভোলা লালমোহন উপজেলাধীন বদরপুর ইউনিয়ন দেবীর চর ২ নং ওয়ার্ডে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আবু তৈয়ব নামের এক যুবদল নেতাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা।
আবু তৈয়বের,পিতা-মো:সালাউদ্দিন ওরফে (সালামত)গণমাধ্যম কর্মীদের কে জানান,গত ১৮-১১-২০২৪ ইং সকাল অনুমান ০৯ টার সময় দেবীর চর ২নং ওয়ার্ডের যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু তৈয়ব,তার ভাইদেরকে সাথে নিয়ে বাড়ি হইতে দেবীর চর বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করেন,পরবর্তীতে দেবীর চর বাজারের দক্ষিণ পশ্চিম পাশে পাকা রাস্তার ওপর আবু তৈয়ব গংরা পৌঁছা মাত্র মো:মোস্তফা কামাল সুইচ, পিতা: মৃত আহমদ সুইস,মো:সিরাজ হাওলাদার পিতা: মৃত মজিদ হাওলাদারের নেতৃত্বে- মোঃ মনির মেলকার পিতা-মোহাম্মদ হারুন মেলকার,মোঃ রাকিব হাওলাদার পিতা-মো: নুরুল হক, মো:জিলানী হাওলাদার পিতা-মোঃ:সিরাজ হাওলাদার,মোঃ কামরুল হাওলাদার পিতা- লোকমান হাওলাদার,মোঃ: হারুন পিতা-মৃত নুরু মেলকার, মো:কবির সুইচ পিতা- মৃত চান মিয়া সুইচ,মো:মামুন সুইচ পিতা: মৃত সুলতান সুইচ মোঃ মাহাবুব সুইচ,পিতা- মৃত চানমিয়া সুইচ মো:মজু হাওলাদার পিতা-মৃত গনী হালদার,মো: আলমগীর হাওলাদার,পিতা-মৃত গনি হাওলাদার, পিতা-সিরাজ হাওলাদার,মোহাম্মদ কুট্টি হাওলাদার,পিতা-মোঃ মজিদ হাওলাদার,মো: মাহবুব হাওলাদার,পিতা-মৃত আলী হাওলাদার,মো: নুরু হাওলাদার,পিতা-মৃত গনি হাওলাদার, মোঃ সবুজ হাওলাদার,পিতা-মৃত জলিল হাওলাদার মোঃ মামুন হাওলাদার,পিতা-মো:লোকমান হাওলাদার, মোহাম্মদ বাহাদুর হাওলাদার, পিতা-মোঃ লোকমান হাওলাদার,মোঃ রোমান হাওলাদার, পিতা-মোঃ সিরাজ হাওলাদার, মোঃ পারভেজ বেপারী,পিতা- মোহাম্মদ হিরন বেপারী, মোহাম্মদ মঞ্জু,পিতা-মৃত কুট্টি হাওলাদার, মোহাম্মদ বিল্লাল খাঁ পিতা- মোঃ মোকলেছ খা, মোঃ ইউসুফ মেলকার পিতা-মোঃ নুরু মেলকার,মোঃ জামাল খান,পিতা-আইয়ুব খান আরো অজ্ঞাত নামা অনেকে বে-আইনি জনতাবদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র ,লাঠিসোটা ও লোহার রড নিয়ে ঘটনাস্থলে পথরোধ করে,অহেতুক ঝগড়া সৃষ্টি এবং গাল-মন্দ করে।পরবর্তীতে আবু তৈয়ব,মোঃ মাকছুদ, মোঃ মাইনুদ্দিন প্রতিবাদ করায়,তাদের উপর উল্লেখিত সকল অভিযুক্ত স্বৈরাচার আওয়ামী সন্ত্রাসীরা,আবু তৈয়ব গংদের উপর তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র এবং লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করেন।এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা থাকা বগি দা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আবু তৈয়বের মাথায় কোপ মারেন এবং এক পর্যায়ে আবু তৈয়ব মাটিতে শুয়ে পড়লে,উপরে উল্লেখিত অভিযুক্ত স্বৈরাচার আওয়ামী সন্ত্রাসীরা এলোপাথাড়ি আঘাত করে,নীলা ফুলা, রক্তাক্ত জখম করে। পরবর্তীতে আমার ও আমার সন্তানদের ডাক-চিৎকার শুনে বাজারের আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে সন্ত্রাসীদের কবল থেকে আমাকে ও আমার সন্তানদেরকে উদ্ধার করেন এবং উপরে উল্লেখিত সকল স্বৈরাচার আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আমাকে এবং আমার সন্তানদেরকে খুন করে ফেলবে বলে জনসম্মুখে প্রকাশ্যে হুমকি প্রদান করেন।পরবর্তীতে স্থানীয় পাড়া-প্রতিবেশীরা আমাদেরকে স্বৈরাচার আওয়ামী সন্ত্রাসীদের কবল থেকে উদ্ধার করে, চিকিৎসার জন্য লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যান কিন্তু আমার সন্তানদের শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়াতে,ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল সদর হাসপাতালে রেফার করেন।পরবর্তীতে আবু তৈয়বের শারীরিক অবস্থা খারাপ থেকে খারাপ হওয়াতে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে রেফার করেন। পরবর্তীতে আবু তৈয়বের শারীরিক অবস্থা বেশি খারাপ হওয়াতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠান। ঢাকা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে ভর্তি করার কিছুক্ষণের মধ্যে আবু তৈয়ব মৃত্যুবরণ করেন। আবু তৈয়বের পিতা গণমাধ্যমকর্মীদেরকে জানান,তার ছেলেকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। তিনি আরো জানান,গণমাধ্যমকর্মীরা সঠিক তথ্য না জেনে সত্য-মিথ্যা যাচাই-বাছাই না করে, স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসীদের প্ররোচনায় পড়ে,কয়েকটি গণমাধ্যমে ভিত্তিহীন নিউজ প্রকাশ করেন,যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাশাপাশি বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.মোঃ ইউনূসের কাছে এবং বাংলাদেশ যৌথবাহিনীর কাছে এবং দেশ নায়ক তারেক রহমানের কাছে আমার সন্তান হত্যাকারীর সঠিক বিচার দাবি করেছি।