মোঃ সুমন, নিজস্ব প্রতিনিধি।
গত ৩০/০১/২০২৫ ইং তারিখ বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা থেকে সারা দিনব্যাপী বাংলাবাজার ফাতেমা খানম বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তারুণ্যের উৎসবের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খন্দকার ফজলে গোফরান, জেলা শিক্ষা অফিসার,ভোলা সদর, ভোলা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ রকিবুল হাসান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, ভোলা সদর, ভোলা। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, মোঃ জসিম উদ্দিন। প্রধান অতিথি সকাল ১০টায় ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহন করে, লাল ফিতা কাটার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন। দীর্ঘ সময় ধরে অনুষ্ঠান পর্যবেক্ষণ করে প্রধান অতিথি জানান, এই অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত মনোমুধ্যকর ও চমৎকার হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক তারুণ্য উৎসব ২০২৫ এর আয়োজন দেখে প্রধান অতিথি প্রধান শিক্ষকসহ সকল শিক্ষক ও কর্মচারীকে ধন্যবাদ জানান এবং প্রতিবছর এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য আহবান করে। বিশেষ অতিথি রাকিবুল হাসান জানান ভোলা সদর থানায় দুটি প্রতিষ্ঠানকে তারুণ্য উৎসব ২০২৫ উদযাপনের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়, তারমধ্যে বাংলাবাজার ফাতেমা খানম বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় অন্যতম। আয়োজনে তিনি তার সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং আয়োজকদেরকে ধন্যবাদ জানান। প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোঃ জসীম উদ্দীন গণমাধ্যম কর্মীদেরকে জানান জেলা শিক্ষা অফিস এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে তারুণ উৎসব ২০২৫ উদযাপনের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। নির্দেশনা মোতাবেক তারুণ্য উৎসবকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করে আয়োজন করার ব্যবস্থা করেন। ১। তারুণ্য মেলা (পিঠা উৎসব)
২। পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জন
৩। জুলাই বিপ্লব সংক্রান্ত আলোচনা।
নির্দেশনা মোতাবেক প্রধান শিক্ষক প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষকের সাথে আলোচনা ক্রমে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেন, উক্ত কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে ছিলেন প্রতিষ্ঠানের সহকারী প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ এবং সদস্যদের মধ্যে ছিলেন মোঃ সুমন সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি), পিংকন চন্দ্র দাস সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা), রাবেয়া বশরী সহকারী শিক্ষক (সামাজিক বিজ্ঞান)। এ ব্যাপারে আহ্বায়ক জানান প্রধান শিক্ষক কর্তৃক নির্দেশনা পাওয়ার পর
২৯ তারিখ বুধবার পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জন সংক্রান্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল এবং দ্বিতীয় পর্ব তারুণ্য মেলা (পিঠা উৎসব) এর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করতে সদস্য শিক্ষক থেকে শুরু করে অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মচারী তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেন। এ ব্যাপারে কমিটির অন্যতম সদস্য মোঃ সুমন জানান, প্রধান শিক্ষক কর্তৃক নির্দেশনা পাওয়ার পর, আহবায়ক এর পরিচালনায় তারা তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন একটি সাফল্যমণ্ডিত উৎসব যেন আয়োজন করা হয়। তিনি দাবি করেন অনুষ্ঠানের আয়োজন দেখে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি, প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য সকল দর্শনার্থী খুবই আনন্দিত। বিভিন্ন দর্শনার্থীদের সাথে আলাপ কালে তারা জানায় এই ধরনের আয়োজন এই সর্বপ্রথম ভোলা জেলার উপশহর বাংলাবাজারে দেখা গিয়েছে। তারুণ্য মেলায় সকল দর্শনার্থী খুবই উচ্ছাসিত ও উল্লাসিত ছিলেন, শত শত দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ আনন্দ মুখরিত একটি পরিবেশে পরিণত হয়। দর্শনার্থীরা জানায় প্রতিবছর যেন এই ধরনের আয়োজন এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। শিক্ষার্থীরা এব্যাপারে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে জানায় শিক্ষা জীবনে তারা এই প্রথম এরকম তারুণ্য মেলা পিঠা উৎসবে অংশগ্রহণ করেছে। শিক্ষার্থীরা তাদের আনন্দ প্রকাশ করে বলে রাত থেকে শুরু করে সকাল পর্যন্ত তারা হরেক রকমের পিঠা তৈরি করেন, এবং মেলায় বিভিন্ন স্টলে বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করেন। তারা প্রধান শিক্ষক সহ আয়োজকদেরকে ধন্যবাদ জানান। দেখা গিয়েছে দর্শনার্থীরা স্টলে স্টলে ঘুরে ঘুরে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পিঠা ক্রয় করে, এই অনুষ্ঠানে পার্শ্ববর্তী অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরকে আসছে দেখা গিয়েছে। তারা গণমাধ্যম কর্মীদেরকে জানায় এই উৎসব দেখে তারা অনুপ্রাণিত এবং তারা তাদের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে আলোচনা করবেন যেন এ ধরনের অনুষ্ঠান তাদের প্রতিষ্ঠানেও আয়োজন করা হয়। দিনব্যাপী অনুষ্ঠান পরিচালনা শেষে বিকাল চারটার দিকে প্রধান শিক্ষকের নির্দেশনা ক্রমে একটি আনন্দ মুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করা হয়।