মোঃ জুয়েল মাস্টার,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
বিআইডব্লিউটিএ”র রেজিষ্টেশন যাচাই ছাড়াই আটককৃত ড্রেজার মেশিন মালিকানা শনাক্ত করে বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে মামলার তদন্তকারী অফিসার মির্জাকালু নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই ইউসুফ। বোরহানউদ্দিন উপজেলার তেতুলিয়া নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় অবৈধ ড্রেজার মেশিন ও একটি বাল্কহেড (জাহাজ) আটক করেছে সহকারী কমিশনার ভুমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মেহেদী হাসান।
আটক হওয়া ড্রেজার মেশিন ও বাল্কহেড জাহাজের বিরুদ্ধে গঙ্গাপুর ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
যাহা বোরহানউদ্দিন থানার মামলা নম্বর – ৩১, তারিখ ২৯-নভেম্বর ২০২৪ ইং। ওই মামলায় আটক হওয়া ড্রেজার মেশিন ও বাল্কহেড (জাহাজ) মালিকানা শনাক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য বিজ্ঞ আদালত নির্দেশ প্রদান করেছেন।
বিআইডব্লিউটিএ”র রেজিষ্ট্রেশন নম্বার ও কাগজপত্র ছাড়াই আটক হওয়া ড্রেজার মেশিন ও বাল্কহেড (জাহাজ) এর মালিকানা শনাক্ত করে,বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে তদন্তকারী অফিসার।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইন সহায়ক কেন্দ্র ফাউন্ডেশনের পটুয়াখালী ও ভোলা জেলার
সভাপতি মোঃ রিজন হাওলাদার জানান,
বিআইডব্লিউটিএ”র রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার ও মালিকানা কাগজ-পত্র যাচাই না করে,আদালতে প্রতিবেদ দাখিল করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।
মামলার তদন্তকারী অফিসার মির্জাকালু নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোঃ ইউসুফ কিভাবে মালিকানা যাচাই করে প্রতিবেদন দাখিল করেছে? এমন প্রশ্ন তার।
মামলার তদন্তকারী অফিসার মির্জাকালু নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোঃ ইউসুফ জানান, আমি গতকালকে বদলী হয়ে বরিশালে চলে আসছি। ড্রেজার মেশিন ও বাল্কহেড জাহাজ এর বিআইডব্লিউটিএ রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার না থাকায় বিআইডব্লিউটিএ”র কাছে কিছু জানতে চাইনি। মালিক পক্ষের কাছে কাগজপত্র যা পেয়েছি সেগুলো দিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছি।
মিজাকালু নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির (ওসি) সৈয়দ মোশারফ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিআইডব্লিউটিএ কাগজপত্র ও মালিকানা যাচাই করে বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে মামলার তদন্তকারী অফিসারকে নির্দেশ প্রদান করেছি। বিআইডব্লিউটিএ মালিকানা যাচাই ছাড়াই কিভাবে আদালতে রিপোর্ট দিয়েছে তা আমি জানি না।