মোঃ জুয়েল মাস্টার, নিজস্ব প্রতিনিধি।
বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি গিয়ে লাশ হলেন মাকসুদা
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশিভূষণ থানা এলাকা থেকে মাকসুদা আক্তার নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পরিবার দাবি, স্বামীসহ শ্বশুড়বাড়ির লোকজনের অত্যাচার সইতে না পেরে মাকসুদা আত্মহত্যা করেছে। তবে পুলিশ বলছে, লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব ।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে শশিভূষণ থানা এলাকার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের চর ফকিরা গ্রাম থেকে পুলিশ মাকসুদা আক্তারের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
মাকসুদা আক্তার ওই গ্রামের মো. ইউসুফ হোসেনের স্ত্রী এবং এক সন্তানের জননী ছিলেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় মাকসুদা বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে যায়। স্বামীর বাড়িতে পৌঁছেই মাকসুদা আত্মহত্যা করে।
মাকসুদার বাবা মাজেদ আহমেদ ঢাকা মেইলকে জানান, ৫ বছর আগে ইউসুফ হোসেনের সঙ্গে মাকসুদা আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের ২ থেকে ৩ বছর পর্যন্ত সাংসারিক জীবন ভালো কাটলেও এরপর থেকে মাকসুদা আক্তারকে তার স্বামী ইউছুফ হোসেনসহ শশুড়বাড়ির লোকজন নানা সময় মারধর করত। শ্বশুড়বাড়ির লোকজনের অত্যাচার সইতে না পেরে এ নিয়ে একাধিকবার স্থানীয় পর্যায়ে সালিসি বৈঠকও হয়। এরপরও তাদের সঙ্গে মাকসুদা আক্তারের মনোমালিন্য ছিল।
সবশেষ ঘটনার দিন সন্ধ্যায় মাকসুদা আক্তার বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে যায়। এরপর রাত ১০ টার দিকে ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে মাকসুদা আত্মহত্যা করে।
ঘটনার পর থেকে মাকসুদা আক্তারের স্বামী ইউছুফ হোসেনসহ শ্বশুড়বাড়ির লোকজন পালিয়ে যান।
শশিভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারিক হাসান ঢাকা মেইলকে জানান, মাকসুদা আক্তারের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর পুলিশ অন্যান্য বিষয় খতিয়ে