স্টাফ রিপোর্টার :
ভোলা দৌলতখান উপজেলাধীন উত্তর জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদে জেলেদের চাল বিতরণ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন উত্তর জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের ইউপি সদস্য মোসাম্মদ তাসলিমা বেগম তিনি সংবাদকর্মীদের জানান, গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর,দৌলতখান উপজেলাধীন,উত্তর জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদে অসহায় জেলেদের জন্য সাগরে মৎস্য আহরণ নিষেধাজ্ঞা থাকাকালীন সময় সরকার কতৃক বরাদ্দকৃত সমুদ্রগ্রামী জেলেদের ১৬ টন ৬৬০ কেজি চাল আসে । বর্তমানে মা ইলিশ রক্ষার্থে অভিযান চলাকালীন সময়ে জেলেদের জন্য চাল আসে ২৩. ৬৭৫ মেট্রিক টন। বর্তমানে এ পরিশোধের সচিব মোঃ ইব্রাহিম ও প্যানেল চেয়ারম্যান মিলন চৌধুরী যোগ সাজ্জসে এই গরীব অসহায় জেলেদের চাল আত্মসাৎ করার জন্য একটি ভুয়া বিতরণ শিট তৈরি করেন।গত ২২-১০-২০২৪ ইং তারিখ সকাল ০৬.০০ঘটিকার সময় ইউনিয়ন পরিষদের সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত অসহায় জেলেদের চাল গুদাম থেকে লুট-পাট করে বিক্রি করে দিয়েছেন। বিতরণ সিটে নিবন্ধিত কার্ড দাড়ি একজন জেলেদের সঠিক আঙ্গুলের টিপসই নাই। তিনি আরো বলেন,এই অসৎ সিন্ডিকেট দাড়ি মহল আইনি কতৃপক্ষের হাত থেকে বাঁচার জন্য বিতরণসিটে নিবন্ধিত জেলেদের আঙ্গুলের ছাপের জায়গায় নিজেরা তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীদের দ্বারা সুবিধামতো টিপসই দিয়ে রেখেছে। উক্ত চাল আত্মসাৎ এর ঘটনায় আমি বাধা প্রদান করিলে,প্যানেল চেয়ারম্যান মিলন চৌধুরী ও সচিব মোহাম্মদ ইব্রাহিম তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীগন আমাকে যে কোন সময় খুন করিয়া লাশ ঘুম করিয়া ফেলিবে বলে হুমকি প্রদান করেন। এই সন্ত্রাসীরা এতটাই ভয়ঙ্কর যে স্থানীয় সংবাদকর্মীরাও এই পরিষদের অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ প্রচার করতে সাহস পাচ্ছে না।তিনি আরো বলেন,অসহায় গরিব জেলেদের চাল বিতরণের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি দেখার জন্য কেউ নেই বলেই চলে। আমি এই পরিষদের একজন সংরক্ষিত মহিলা আসনের ইউপি সদস্য হয়েও নিজে বড়ই অসহায় বোধ করছি।এ বিষয়টি আমি বিগত দিনে দৌলতখান উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তাকে অবগত করলেও তিনি সরকার কর্তৃক জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাৎ করার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার কারণে তিনি উক্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উক্ত অপরাধটি ধাফা-চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। অবশেষে উপরিক্ত অভিযোগের বিষয়টি ভোলা জেলা প্রশাসক এবং দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী অফিসারএবং বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর কাছে জানিয়েছি কিন্তু তারাও এখন পর্যন্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোন আইন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। তাই উল্লেখিত অভিযোগের বিষয়টি বাংলাদেশ অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.মোঃ ইউনুস এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও ভোলা ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হাফিজ ইব্রাহিম এর কাছে এই অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।