মো.জুয়েল মাষ্টার,নিজস্ব প্রতিনিধি ।
২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে অনেক আশা ভরসা নিয়ে নদীতে ইলিশ শিকারে গিয়ে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পেয়ে হতাশা নিয়ে তীরে ফিরছে ভোলার প্রায় ২ লক্ষাধিক জেলে। অভিযানের ২২ দিন ধারদেনা করে সংসার চালালেও আশা ছিল নিষেধাজ্ঞা শেষে পর্যাপ্ত পরিমাণ ইলিশ পাবে এবং সেই টাকা দিয়ে ধার দেনা শোধ করবে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা শেষে কাঙ্খিত সেই ইলিশের দেখা পাচ্ছেন না জেলেরা তাই এখন চরম দুঃশ্চিন্তায় ও হতাশায় পড়েছেন তারা। অনেক আশা নিয়ে বাজার সদাই ও ইঞ্জিনের তেল সহ কয়েক হাজার টাকার বাজার করে ইলিশ শিকারি নেমেছেন ছেলেরা। অথচ এখন সেই বাজারের খরচও না ওঠায় নদী বিমুখ হয়ে পড়ছেন অনেক জেলে। আড়ৎতে ইলিশের সরবরাহ কম থাকায় মোকামের দাদন নিয়ে চিন্তিত আড়ৎদাররাও।
সরেজমিনে ভোলার মেঘনা-তেতুলিয়ার বিভিন্ন এলাকা ও কয়েকটি মাছঘাট ঘুরে দেখা গেছে, জেলেরা নদীতে ইলিশ শিকারে নেমেছেন। আবার কেউ কেউ ইলিশ বিক্রির জন্য ঘাটের আড়ৎ গুলোতে নিয়ে আসছেন। আড়তে ইলিশ বিক্রির পর খরচের হিসেব মেলাতে গিয়েই তাদের মাথায় হাত। কারো ট্রলারের তেলের খরচই ওঠেনি, আবার কেউ ভাগে পেয়েছেন মাত্র ১০০ থেকে ১৫০ টাকা।
৮ জন মাঝি মাল্লা সহ মেঘনায় ইলিশ শিকারে গিয়েছেন মুনছুর মাঝি। তিনি বলেন, অভিযান শেষে আমরা ধারদেনা হইয়া আসছি নদীতে মাছ ধরতে। নদীতে এখন মাছ কম। নিজেরাই চলাফেরা করতে কষ্ট। আগামী দিনে কিভাবে চলব আল্লাহই ভালো জানে।
ভোলার খাল মাছ ঘাট এলাকার ইসমাইল মাঝি বলেন, রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত ৩ খেও জাল বাইছি। মাছ পাইনি বললেই চলে। মনে করছি বড় বড় ইলিশ মাছ পাব। বিগত দিনের দেনা তো আছেই। আশা করছিলাম ইলিশ মাছ ধইরা দেনা পরিশোধ করব। মোট ৭ টা ইলিশ পাইছি, মাত্র ১১৫০ টাকা বিক্রি হইছে।
বিল্লাল মাঝি বলেন, রাতে গাঙ্গে গিয়ে দুপুর বেলায় আসছি। ঘাটে মাছ বিক্রি ক