রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
ভোলা জেলার কল্যান সভা ও অপরাধ সভা অনুষ্ঠিত মনপুরায় বেড়ীবাঁধের কাজে দ্বন্দ্বের জেরে খুনের ঘটনায় এজাহার নামীয় ৩ আসামি গ্রেফতার ভোলায় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গাড়ী চালককে অপহরণ ও হত্যার চেষ্টা… ভোলা বোরহানউদ্দিনে যুবদলের উদ্যোগে ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন…. ভোলা,বোরহানউদ্দিনে জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ… ভোলা বোরহানউদ্দিন উপজেলায় কৃষি জমি রক্ষা ও পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিতে টবগী ইউনিয়নের এএইচটি ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা…… ভোলায় সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় র‍্যাবের হাতে আটক-৩ ভোলা ,বোরহানউদ্দিন উপজেলায় কৃষি জমি রক্ষা ও পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিতে ইটভাটায় অভিযান…. ভোলায় সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবা‌দে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত

দৌলতখানে রাতের আঁধারে অন্যের জমিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণের অভিযোগ।

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ১১১ Time View

দৌলতখান প্রতিনিধি:

ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার মধ্য জয়নগর ৯ নং ওয়ার্ডের বখশেয়ালি সংলগ্ন বড় বাড়ির আবুল কাশেম ও তার ছেলে আশরাফুলের নেতৃত্বে নারী ও পুরুষ মিলে প্রায় ১ শতাধিক সন্ত্রাসী মিলে রাতের আঁধারে মৃত দেলোয়ার হোসেন হাওলাদারের মায়ের রেকর্ডীয় ও ক্রয় কৃত জমি জোরপূর্বক ঘর উত্তোলন করে দখল করেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে জানাযায়, দীর্ঘ ৫০ থেকে ৬০ বছর দেলোয়ার হোসেন তার মায়ের রেকর্ডীয় জমি এস এ ৭২৬/১২০১/৭১৭ নং খতিয়ানে ৪৩ শতাংশ জমি ৩ জনের কাছ থেকে ৪৪ শতাংশ জমি ক্রয় করে মোট ৮৭ শতাংশ জমি নিজ নামে নাম জারি ও খাজনা পরিশোধ করে ভোগ দখল করে আসছেন। প্রত্যক্ষ সাক্ষী হিসেবে শফিজুল হক বলেন, রাতের আঁধারে আনুমানিক রাত ১২/১ টার সময় আবুল কাশেম ও তার ছেলে আশরাফুল ইসলাম এবং তাদের ভারা করা লাঠিয়াল বাহিনীসহ মহিলাদের নিয়ে বগি দা, রাম দা,বাঁশের লাঠি অর্থাৎ দেশীয় অস্র নিয়ে তারা গাছ কাটে এবং রাতেই ঘর তোলেন। ঘটনাস্থল থেকে শফিজল এর ঘর সর্বোচ্চ ৫০/৬০ ফুটের মধ্যে। দেলোয়ার হোসেনের পুত্রবধূ ইব্রাহিমের বউ রোজিনা জানান, আমার স্বামীসহ আমার দেবর এরা প্রবাসে থাকেন। পরিবারে বর্তমানে কোন পুরুষ নেই, রাতে ঘর তোলার পরে আমি খবর পেয়ে সেখানে আসি।এসে যখন তাদের জিজ্ঞেস করি আপনারা রাতে ঘর তুলছেন কেন, তখন ৮/১০ জন মহিলা ও পুরুষ আমার উপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে আমার ওড়না বোরকা তারা হের্চা করে আমার গায়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। আমার ডাক চিৎকারে প্রত্যক্ষ সাক্ষী সফিজল হক আমাকে রক্ষা করেন। সেখান থেকে তাদের ভয়ে আমি চলে যাই। রোজিনা আরো জানান,২০১৪ সালে আবুল কাশেম আমার শ্বশুর দেলোয়ার হোসেনকে ৫ নাম্বার আসামি করে দৌলতখান সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী মামলা নং ৪৪/২০১৪ ইং মামলা করেন।মামলা চলমান অবস্থায় আনুমানিক ৭/৮ বছর আগে আমার শ্বশুর দেলোয়ার হোসেন মারা যায়। রোজিনা বলেন এই মামলার ১নং বিবাদী নুরুল ইসলাম পরিচালনার দায়িত্ব নেন এবং তিনি মামলা পরিচালনা করেন,গতবছরের সুপারি নারিকেল আমরা নিয়েছি। আমরা এর সঠিক বিচার দাবি করছি। আবুল কাসেম জানান,আমার বাপের ক্রয়কৃত সম্পত্তি তারা দখল করে আছে। আমি ২০১৪ সালে দেওয়ানী মামলা দেই সেই মামলার রায় আমাদের পক্ষে আসে তাই আমরা এখানে ঘর তুলছি। ভুক্তভোগী পরিবার বলেন আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। বাংলাবাজার পুলিশ পাড়ীর ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন জানান এই বিষয়ে ভুক্তভোগী আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আমাদের আশ্বাস দিছেন যে তারা বসে কাগজপত্র দেখে সঠিক সমাধান দিবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 dainikbanglartattho.com
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin